রূপকথায়.. চুপকথায়.. বৈশাখ!
আর আর চক্র ঘুরে,
ক্রোধান্ধ চোতের পর..
বোশেখ,
তুমি এলে!
আমি আশার তেলে
প্রদীপ জ্বালাই;
রোজ।
খোঁজ.. তোমার তীব্র ঝড়ের।
ঈশ্বরের অট্টহাসির তোড়ে,
সজোরে আছড়ে পড়ে
নবীণ আলো..
আমার দোরে।
কোন এক ভোরে,
অমন হাসি..
ফাঁসিয়ে ছিল,
ভাসিয়ে দিল,
এই করে করে,
লাল পেড়ে সফেদ কাপড়েই
নির্বাসিত আমি!
আর.. কপালে রক্ত-চুম্বন,
হৃদয়ে সুতীব্র কাঁপন
টের পেয়ে,
কাঁচা সোনার গন্ধ বেয়ে,
তুমি.. ঠিক এখানটায়।
যেখানটায় সূর্যকুমার
তোমার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে,
রক্ত আর ঘামে..
বাণ ছড়িয়ে,
আমায় তাড়িয়ে নিতে।
আমি অবুঝের মত
নির্ভরতা খুঁজি।
আশঙ্কায় ..চোখও বুজি।
তারপর হঠাৎ..
চিত্র আরো বিচিত্র!
দৃশ্যেরা বদলে যেতে থাকে...
রমনা বটমূল থেকে চারুকলা..
পান্তা-ইলিশ থেকে আনন্দ মিছিল..
ঢোল-ঢক্কর.. নাগরদোলা...
বাউলা গানের আউলা বাতাস..
আর.. আআর...
আকাশে টুকরো মেঘ ভাসে..
ধূসর.. কাল.. এলো.. মেলো...
বৃষ্টির ঝুপঝাপ কাড়া-নাকাড়া..
অতঃপর.. আমার চোখেই
পহেলা বৈশাখ!
০৮/০৩/২০১১
0 comments:
Post a Comment