পলাতক বিশ্বাসের নামতা



জীবনের প্লাটফর্মে, 
পরস্পরের দিকে পিঠ ঠেকিয়ে, 
আমি আর স্বপ্ন বিপরীতমুখী। 
যদিও বা দেখা হয়, 
চকিত চাহনীর পারস্পারিক বিনিময়ে,
অগ্নিচিতায় পুড়িয়ে দেই --
একে অন্যের মুখ, বুক।
অরণ্যে, অন্ধকারে,
দুঃস্বপ্নেরা গা ঘেঁষে আঁচিলের মতই
পড়ে থাকে।
আমি তবু,
শাড়ির কুঁচির ভাঁজে ভাঁজে
সাহস রেখে,
নাভীর কাছটায় গুঁজে রাখি
দুঃস্বপ্ন।
১৪ হাত শাড়ির সাথে
মিশে থাকে ঘাম,
কখনও বা কাম।
তবুও.. শাড়ির সাথে যুঝে
কখনও জিতেছে কি কেউ?
ইলাস্টিক সময়ের হাত ধরে হাঁটায়
বড্ড ঝক্কি।
স্তম্ভিত মুহুর্তকালও বুঝি
ওতে প্রলম্বিত হয়।
সেই কবে ফেলে এসেছি শৈশব, কৈশোর!
এখন বুঝি,
যমুনা-যৌবনের আছাড়ি-পাছাড়ি সময়।
কোটরে তার আগুন জ্বলে,
অগ্নিসেদ্ধ বারুদসমগ্রতায়।
বালিকা স্বপ্নেরা তাই,
আর আসে না।
যদি আর একটিবার আসত!
ধূলি ঝড়ের প্রমত্ততায়,
যদি রেখে যেত --
বয়সের সেই ছাপচিত্র!
কিন্তু হায়!
অসময়ে সময়েরা বড়
বেরহম হয়।
৮০ কিংবা ৮২তে,
জলহীন কোন এক দুপুরের কাছে,
বিবর্ণ স্বপ্নেরা,
বিলাপের সুরে
জল মেগে যাবে --
ঋতুবতী মেঘদলের ভীড়ে।
অপ্রকাশিত জলের কানে কানে,
পৌঁছে যাবে প্রকাশিত স্বপ্নের খোঁজ।
সেই সব স্বপ্নেরা
কাগুজে নায়ের মতন,
ডুবে যাবে --
গভীরে, জলের গভীরে।
ধূম্রজালিক কুয়াশা ভোরে,
নয়তো.. হতচ্ছাড়া কোন সন্ধ্যায়,
ছানি পড়া চোখে,
আষাঢ়-শ্রাবণ ভেবে,
আমি জপে যাব--
পলাতক বিশ্বাসের নামতা।
আর.. রেখে যাব --
কোন এক যুবতীবর্ষায় ফোটা
বৃষ্টির ইতিহাস!
কারণ
আমি জানি --
বয়স বাড়ে,
তবু দুই দু’গুণা চার হয় না।

0 comments:

Post a Comment