নির্বাসিতা

সবার বুকে সবার ঠাঁই মিলবে, 
এমনটা কি হয়? 
হয় না,হয়নি কখনও। 
আর তাই.. তোমার বুক থেকে কি অবহেলায়, 
কতটা অবজ্ঞায়.. . 
আমাকে তুলে বসিয়ে দিলে.. 
দ্বিধার সুমুখে। 
তারপর.. নৈকট্যের জ্বালা,
সুদূরে নির্বাসন।

ভুল থেকে কেউ শেখেনি কোনদিন,
বলো, শেখে কি?
উঁহু.. বরং ফুল ফোটে কখনো কখনো।

তোমার দেয়া নির্বাসনে.. .
ঘর পোড়ানো আগুন,
মন পোড়ানো ফাগুন,
স্বপ্ন জ্বালানো বর্ষা.. .
কি নেই?

ঊষর মরুভূমিতেও.. .
তোমার জলজ প্রেমের মায়া,
সপ্তর্ষি মন্ডলের বুকে.. .
তোমার চোখ,আর.. তার ছায়া।
কৃষকের ঘাম ঝরানো রোদের তীব্রতা নিয়ে,
সেখানটায় সাথী হয়.. ...
আকাশের তপ্ত চোখ রাঙ্গানি,
বাতাসের শিরশিরানো-ধারালো আলতো ঝাপটা,
শ্মশ্মানের নিরবতা,
আর.. হটাত ওঠা শব্দের করাতে.. .
নৈঃশব্দের ঘুম ভাঙ্গানি আর্তনাদ।

আমি কি চেয়েছিলাম?
কিছু কি চেয়েছিলাম?
খুব কি বেশি?

অনেক চাওয়া মানে.. .
প্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা।
অল্প চাওয়ায়.. দুষ্প্রাপ্যতা কম,
অপ্রাপ্তির ব্যবধান কমিয়ে.. .
চাওয়ারা পাওয়া হয়ে যায়।

কিন্তু.. আমি চেয়েছি অনেক.. .
তাই পাইনি কিছুই।

এই যে তোমায় চেয়েছি.. .
পৃথিবীর বিপরীতে,
অনেক নয়?
হুঁম.. অনেকই তো!
তাই শেষমেষ প্রাপ্তির ঘরে জমলো..
নির্বিঘ্ন শুন্যতা,
নির্মেঘ আকাশ।

আমি রোজ শিথানে দুঃস্বপ্ন রেখে,
স্বপ্নের জলে.. দুঃখের(দুখের)ভেলা ভাসিয়ে.. .
স্মৃতির মালা গাঁথি।
সে মালার আরাধ্য দেবতা.. ...
আজও তুমি।
মন্দিরটা ভাংগলো বটে.. .
তবু মনের তো ভাংগন নেই।

তাই নির্বাসিত চোখেও.. আমি তোমায় খুঁজি,
রাতে অনেক ভাবার ক্লান্তিতে চোখ বুঁজি।

তবু অনেক হারিয়েও.. হারিনি কোনদিন,
হারি না কখনো।
আমি এলো চুলে.. ...
তোমার দ্বারে এসে দাঁড়াই যখন,
তোমার চোখে তখন.. .
সত্যের উদ্বোধন।

তুমি চেনোনি আমায়?
আমি সেই.. .
হ্যাঁ, সেই তো.. ...
সেই নির্বাসিতা।
যার চোখে.. আজও রাত শেষে বিনম্র ভোর..
অসম্ভবের আকাশে রোপিত হয়.. .
সম্ভবের বীজ,
যন্ত্রনায়.. শত মন্ত্রনায়.. .
একাকার হয়.. ....
বিষন্ন রোদ্দুর থেকে সৌম্য-সমুদ্দুর।

তুমি না চিনলেও,
ঠিক চিনে নেবো তোমায়।
কারণ, আমি সেই নির্বাসিতা..
যার আঘাতে.. ...
একদিন নিশ্চিত জেনো.. .
বিচ্ছিন্ন হবে.. তোমার গর্বিত বুক।

এখনো চেনোনি?
চিনে রাখো,চিনে রাখো..
আমি সেই নির্বাসিতা.. .
হ্যাঁ গো হ্যাঁ, সেই নির্বাসিতা গো..
সেই নির্বাসিতা।

তারিখঃ ২০/০৭/২০১০, সময়ঃ রাত ৮:৫৮-৯:৪০



সেই নির্বাসিতা.. .

0 comments:

Post a Comment